সুরক্ষা ওয়েবসাইটে যুক্ত হলো শিক্ষক ক্যাটাগরি


ইউএনভি ডেস্ক:

অবশেষে করোনার টিকার নিবন্ধন ওয়েবসাইট সুরক্ষায় ‘শিক্ষক’ ক্যাটাগরি যুক্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাত থেকে বিভিন্ন ক্যাটাগরির পাশাপাশি শিক্ষক ক্যাটাগরিতে নিবন্ধন করতে পারছেন দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষকরা। তবে যেসব শিক্ষকদের বয়স ৪০ এর কম তারা এখনও নিবন্ধন করতে পারছেন না।

জানতে চাইলে সরকারি বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ সামসুদ্দিন মাসুদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, গতকাল থেকে শিক্ষকরা নিবন্ধন করতে পারছেন। তবে যাদের বয়স ৪০ এর কম তারা এখনও নিবন্ধন করতে পারছেন না। সব শিক্ষককে করোনার টিকার আওতায় নিয়ে আসার জন্য তিনি সরকারের কাছে দাবি জানান।

তিনি বলেন, আমরা শ্রেণিকক্ষে যেতে প্রস্তুত। তবে তার আগে যদি করোনার টিকা দেওয়া হয় তবে সবাই সুরক্ষিত হয়ে ক্লাসে ফিরতে পারব। এজন্য তিনি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানান।

প্রাথমিক ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, সব শিক্ষকদের জাতীয় পরিচয়পত্রসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র অফিসে পাঠাতে বলা হয়েছে। তাদের এসব তথ্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হলে, তিনি যে বয়সের হন না কেন, করোনা নিবন্ধন করতে পারবেন।

শিক্ষকরা বলছেন, করোনাভাইরাসের টিকা গ্রহণে শিক্ষকরাও অগ্রাধিকার তালিকায় রয়েছেন; সরকার, শিক্ষা ও মন্ত্রীরা এমন কথা এতদিন বললেও বাস্তবতা ছিল ভিন্ন। কারণ টিকা গ্রহণে শিক্ষকদের নাম রেজিস্ট্রেশন করার ক্ষেত্রে এই অগ্রাধিকারের দৃশ্যমান কোনো সুযোগ ছিল না। ওয়েবসাইটে শিক্ষক নামে কোনো অপশনও নির্দিষ্ট করা ছিল না। এখন শিক্ষক অপশন যুক্ত হলেও সবাই নিবন্ধন করতে পারছেন না।

জানা গেছে, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর ও প্রাথমিক গণশিক্ষা অধিদপ্তর থেকে সব শিক্ষকদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এরপর এগুলো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর পর শিক্ষকদের তথ্য ইনপুট দেওয়ার পর সব শিক্ষকদের নিবন্ধন উন্মুক্ত করা হবে।

গত ২২ ফেব্রুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, আগামী ২৪ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হবে। তার এক সপ্তাহ আগে ১৭ মে (সোমবার) বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সব আবাসিক হল খুলবে। তার আগে আবাসিক সব শিক্ষার্থী এবং শিক্ষক-কর্মকর্তাদের টিকা দেওয়া হবে। একইসঙ্গে তিনি জানান, মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক পর্যয়োর সব শিক্ষকদের টিকার আওতায় নিয়ে আনা হবে। সেজন্য মাউশি কাজ করছে বলেও জানান তিনি।

একাধিক অনুষ্ঠানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, সব প্রাথমিক শিক্ষক-কর্মকর্তাকে দ্রুত সময়ের মধ্যে টিকার আওতায় নিয়ে আসা হবে।


শর্টলিংকঃ