সোনার হরফে লিখিত মুঘল আমলের কোরআন উদ্ধার


ইউএনভি ডেস্ক: 

সোনার অক্ষরে লেখা বহু প্রাচীন একটি কোরআন শরীফের কপি বাংলাদেশে পাচার করার সময় উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভারতের রাজস্থান থেকে এই পবিত্র ধর্মগ্রন্থ উদ্ধার করা হয়। খবর বিবিসির।

সোনার হরফে লিখিত মুঘল আমলের সেই কোরআন। ছবি: সংগৃহীত
সোনার হরফে লিখিত মুঘল আমলের সেই কোরআন। ছবি: সংগৃহীত

রাজস্থান পুলিশের বরাত দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঐতিহাসিক এই কোরআন শরীফটি কোরআনটি মুঘল সম্রাট আকবরের আমলের এবং এটি এক হাজার ১৪ পৃষ্ঠার। এটি বাংলাদেশে আনছিলেন ভাওয়ারি মীনা নামের এক ভারতীয়। সোনার হরফে লেখা এই কোরআন ১৬ কোটি রুপিতে (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৯ কোটি টাকায়) বিক্রি করা হচ্ছিল। তবে সেটি পাচারের আগে উদ্ধার করা হয়।

এ বিষয়ে জয়পুর উত্তরের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার রাজীব পাচার বলেন, গত বছর ভারতের ভিলওয়ারা জেলার বাসিন্দা যোগেন্দ্র সিং মেহতা একটি বহু মূল্যবান কোরআন ছিনতাইয়ের অভিযোগ করেন। যোগেন্দ্র সিং জানিয়েছিলেন, মুঘল আমলে তার পূর্বপুরুষদের ঐতিহাসিক মণ্ডলগড় কেল্লা থেকে স্বর্ণলিখিত ওই কোরআন উপহার হিসেবে দেয়া হয়। একদিন সেই কোরআন অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার সময় তিন ব্যক্তি ছিনতাই করে।

ওই অভিযোগের ভিত্তিতে সে সময় ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে দুই ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। তবে তাদের সঙ্গে ঐতিহাসিক কোরআনটি পাওয়া যায়নি। কোরআনসহ তৃতীয় ব্যক্তিকে খোঁজ করছিলেন তারা। বৃহস্পতিবার কোরআনসহ আটক ব্যক্তিই সেই তৃতীয়জন বলে ধারণা করছেন পুলিশ কমিশনার রাজীব পাচার।

রাজীব পাচার আরও জানান, বেশ কয়েকদিন আগে ওই স্বর্ণের কোরআন এক ব্যক্তি বিক্রির চেষ্টা করছিলেন বলে গোপন সংবাদ পায় পুলিশ। পুলিশের বিশেষ একটি দল ক্রেতা সেজে ওই ব্যক্তিকে কোরআন শরীফসহ আটক করতে সক্ষম হয়।

এদিকে পুলিশি ভাঁওয়ারি মীনা স্বীকার করেন, ১৬ কোটি রুপি দিয়ে বাংলাদেশে বিক্রি করতে কোরআনটি নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। তবে আটক সেই ব্যক্তি ক্রেতার নাম বলেননি।


শর্টলিংকঃ