ভাষা ও সংস্কৃতি দুই বাংলার বন্ধন সুদৃঢ় রেখেছে: মেয়র লিটন


নিজস্ব প্রতিবেদক :

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, সীমান্তে কাঁটাতার দিয়ে বাংলাদেশ ও পশ্চিমঙ্গের মধ্যে দাগ কাটা সম্ভব নয়। দুই বাংলার মানুষের মধ্যে যে ভালোবাসা ও আন্তরিকতা, সেটা আটকে রাখা যাবে না। ভাষা ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে গড়ে ওঠা দুই বাংলার ভ্রাতৃত্ব ছিল, আছে এবং আগামীতে আরও সুদৃঢ় হবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন রাসিক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন

শুক্রবার (০১ মার্চ) সন্ধ্যায় শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান জেলা পরিষদ মিলনায়তনে সাত দিনব্যাপী তৃতীয় ‘অক্ষয়কুমার মৈত্রেয় নাটোৎসব-২০১৯’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, সাংস্কৃতিক ও নাট্যচর্চার গ্রুপের সদস্যরা নানা সীমাবন্ধতার মধ্য দিয়ে চর্চা অব্যহত রেখেছে। তারা হয়তো তেমন সহযোগিতা পায় না। আমি প্রথম দফায় মেয়র থাকার সময় বর্ণাঢ্য নাট্যোৎসব করেছিলাম।

আগামী ১৭ মার্চ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত ১০ দিনব্যাপী বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক উৎসব আয়োজন করতে যাচ্ছি। এই ১০ দিন সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে মাতিয়ে থাকবে রাজশাহী।সাংস্কৃতিক চর্চায় আমার সহযোগিতা বিগত সময়েও ছিল। আগামীতেও সহযোগিতা অব্যহত থাকবে।’

প্রদীপ প্রজ্জ্বালনে নাট্যেৎসবের উদ্বোধন করেন সংগীতজ্ঞ পন্ডিত অমরেশ রায়

প্রদীপ প্রজ্জ্বালন করে উৎসবের উদ্বোধন করেন একুশে পদকপ্রাপ্ত সংগীতজ্ঞ পন্ডিত অমরেশ রায় চৌধুরী। এ সময় বর্ণাঢ্য নৃত্য পরিবেশিত হয়।

উদ্বোধনী পর্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডাশেনের সেক্রেটারি জেনারেল কামাল বায়েজিদ, ভারতের গোবরডাঙ্গা নকশা এর নির্দেশক ও সভাপতি আশিস দাস, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার ঘোষ।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন রাজশাহী থিয়েটারের সভাপতি নিতাই কুমার সরকার। অনুষ্ঠানে গবেষক ও প্রাবন্ধিক অধ্যক্ষ ড. তসিকুল ইসলাম রাজাকে অক্ষয়কুমার মৈত্র সম্মাননা প্রদান করেন মেয়র ও অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।

আগামী ৭ মার্চ এই উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। সাত দিনব্যাপী এই উৎসবে বাংলাদেশ ও ভারতের বিখ্যাত সাতটি নাটক মঞ্চস্থ হবে।#


শর্টলিংকঃ