মুন্ডুমালা-আমনুরা সড়ক : সংস্কার হয়নি ২৮ বছরেও


সাইদ সাজু, তানোর:

মুন্ডুমালা-আমনুরা সড়কে মুন্ডুমালা বাজার থেকে আমনুরার ধামধুম ব্রীজ পর্যন্ত প্রায় ৭ কিলোমিটার রাস্তা নির্মানের পর ২৮ বছর পেরিয়ে গেলেও তা একবারও সংস্কার করা হয়নি। ফলে, রাস্তার পিচ ও পাথর তো উঠেছেই, নিচের ইট বালি উঠে কাদাতে পরিণত হয়েছে, সেই সাথে অনেক স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। কোথাও কোথাও দেখলে মনে হবেনা যে এই রাস্তাটি একসময় পিচঢালা পাকা রাস্তা ছিলো।

মুন্ডুমালা-আমনুরা সড়ক : সংস্কার হয়নি ২৮ বছরেও
মুন্ডুমালা-আমনুরা সড়ক

এই  রাস্তাটি সংস্কার না করায় প্রায় প্রতিনিয়ত গর্তে পড়ে ছোট বড় যানবহন। বিকল হয়ে পড়ে থাকছে সড়কের মাঝ পথে। কোথাও কোথাও যানবহনের যাত্রীরা নেমে ধাক্কা দিয়ে  যানবহন গুলোকে পারাপার করছেন। সেই সাথে রাস্তাটির দু’ধারের মাটি সরে গিয়ে উচু নিচু হয়ে ভয়ংকর অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে, যাতায়াতের জন্য একটি ট্রাক আরেকটি ট্রাককে সাইড দিতে হলে প্রায় ২০মিনিট অপেক্ষা করতে হচ্ছে।

এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শহর, রহনপুরসহ ওই অঞ্চরের জনসাধারনের রাজশাহী যাওয়ার একমাত্র রাস্তা এটি। অপর দিকে তানোর মোহনপুরসহ এ অঞ্চলের জনসাধারনের একমাত্র যাতায়াতের রাস্তা এটি। যাতায়াতের জন্য অন্য কোন বিকল্প রাস্তা না থাকায় যাত্রীদেরকে বাধ্য হয়ে এবং বেকায়দায় পড়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।

স্থানীয়রা বলেন, আমনুরা থেকে মুন্ডুমালা মাত্র সাত কিলোমিটার রাস্তার জন্য পোরশা, রহনপুর, নাচোল আড্ডা এলাকার কয়েক লাখ মানুষ ৪০ কিলোমিটার ঘুরে গোদাগাড়ী হতে রাজশাহী শহরে যাতায়াত করছেন। এতে খরচ ও সময় দু’টোই বেশি লাগছে। বর্ষার সময়ে এ রাস্তাটি একেবারেই চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। এবং বর্ষার সময় ছোট ছোট যানবাহন ছাড়া ভারী যান বাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

মুন্ডুমালা-আমনুরা সড়ক : সংস্কার হয়নি ২৮ বছরেও
মুন্ডুমালা-আমনুরা সড়ক

সরেজমিন মুন্ডুমালা আমনুরা সড়কে গিয়ে দেখা গেছে, মুন্ডুমালা বাজারের পশ্চিম দিকে থেকে শুরু করে আইড়ার মোড় পর্যন্ত পুরো রাস্তাটি একে বারেই চলাচলের অযোগ্য। জুমারপাড়া বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে একাধিক বড় বড় গর্ত, সেখানে চাল বোঝায় একটি ট্রলি আটকে আছে। উঠাতে পারছেন না চালক ও হেলপাররা।

কিছুদুর গিয়ে ধামধুম ব্রীজের পূর্বপার্শে পাকা রাস্তার কোন চিহৃই পাওয়া গেলেনা, সেখানে দেখা গেলো ছোট বড় গর্ত আর ভাংড়ি ইট আর খোয়া এ্যাবড়ো থ্যাবড়ো হয়ে আছে সেখান দিয়ে মটরসাইকে চালিয়ে যাওয়া কষ্টকর এবং ঠিকমত মটরসাইকেলের হ্যান্ডেল ধরে রাখাই যাচ্ছে এক দিকে যাওয়ার চেষ্টা করছে হ্যান্ডেল চলে যাচ্ছে অন্যদিকে।

বাস চালক মানিক জানালেন, এই রাস্তাটি সংস্কার না করায় বাস চালাতে সমস্যা হচ্ছে আর বর্ষার সময় মটরসাইকেলসহ যেকোন গাড়ীকে সাইড দিতে ২০ মিনিট অপেক্ষার পর সুযোগ বুঝে এবং রাস্তা খুজে সাইড দিতে হয়। ফলে একদিকে যেমন সময় বেশী লাগে তেমনি রাস্তাটি ভাঙ্গাচুরা হওয়ায়র কারনে যাত্রীরা তেমন বাসে যাতায়াত করনে না। তিনি বলেন, রহনপুর অঞ্চলের জনসাধারন তানোর হয়ে রাজশাহীতে যান যাতায়াত করেন না তারা গোদাগাড়ী হয়ে রাজশাহী যাতায়াত করছেন।

রাস্তাটি সংস্কারের জন্য বাস মালিক সমিতি পক্ষে কর্তৃপক্ষকে একাধীকবার তাগাদাসহ অনুরোধ করা হলেও এখন পর্যন্ত তা সংস্কার করা হয়নি। তিনি বলেন, তাদেরকে অনেকটা ঝুঁকি নিয়ে এ সড়কে গাড়ী চালাতে হচ্ছে। তবে, ভরা বর্ষার সময় এই রাস্তাটি যদি সংস্কার না করা হয় বাস ট্রাক চলাচল সম্ভব হবেনা।

তানোর উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মুন্ডুমালা হতে আমনুরার ধামধুম পর্যন্ত প্রায় ৭ কিলোমিটার রাস্তা শুধু সংস্কার ও প্রশস্ত করার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। তিনি বলেন, অল্প দিনের মধ্যেই রাস্তা সংস্কার করার কাজ শুরু হওয়ার আশা করছি।

আরও পড়ুন বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে ইরানের ছোড়া মিসাইলে: ট্রুডো


শর্টলিংকঃ