‘এনভায়রনমেন্ট ফ্রেন্ডলি সিটি অফ দ্যা ইয়ার’ এ্যাওয়ার্ড পেলেন মেয়র লিটন


প্রেস বিজ্ঞপ্তি,

বাতাসে ক্ষতিকারণ ধূলিকণা কমাতে বিশ্বের সেরা শহর রাজশাহী। এবার নতুন বছরে সবচাইতে পরিবেশবান্ধব শহর হিসেবে রাজশাহী অর্জন করলো এনভায়রনমেন্ট ফ্রেন্ডলি সিটি অফ দ্যা ইয়ার-২০২০ সম্মাননা। চ্যানেল আই প্রকৃতি মেলা ১০ম বর্ষে পদার্পণে ১ম বারের মত এ পদক প্রদান করা হয় বিশ্বের সবচাইতে নির্মল বায়ুর শহর হিসেবে রাজশাহীকে।

চ্যানেল আই প্রকৃতি মেলায় সম্মাননা গ্রহণ করেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন

চ্যানেল আই প্রকৃতি মেলায় এ সম্মাননা গ্রহণ করেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। মেয়রের হাতে সম্মাননা তুলে দেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ,এমপি, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু, ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর। শনিবার সকালে ঢাকায় চ্যানেল আই চেতনা চত্বরে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানটি চ্যানেল আই তে সরাসরি সম্প্রচারিত হয়।

অনুষ্ঠানে মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, জিরো সয়েল প্রকল্প বাস্তবায়ন ও বিপুল পরিমাণ বৃক্ষরোপনসহ বহুমুখী উদ্যোগের কারণে ২০১৬ সালে বাতাসে ক্ষতিকারণ ধূলিকণা কমাতে বিশ্বের সেরা শহর নির্বাচিত হয় রাজশাহী। আমি প্রথমবার মেয়র থাকাকালে নগরীতে প্রচুর পরিমাণ বৃক্ষ লাগানো হয়েছিল। এবারো সিটি কর্পোরেশন কর্মচারী, কাউন্সিলর, শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে নগরীতে প্রচুর পরিমাণ বৃক্ষরোপন ও গ্রিনজোন সৃষ্টি করা হচ্ছে। বাতাসে ক্ষতিকারণ ধূলিকণা কমানো বিশ্বের সেরা শহর রাজশাহী- এই অর্জন ধরে রেখে রাজশাহীকে আরো সতেজ করতে চাই। যাতে দেশের অন্যান্য শহর রাজশাহীকে দেখে পরিবেশের উন্নয়নে উৎসাহিত হয়। আমরা যদি প্রকৃতিকে লালন করি তাহলে প্রকৃতি আমাদের সেইভাবে ফেরত দেবে।

এদিকে এনভায়রনমেন্ট ফ্রেন্ডলি সিটি অফ দ্যা ইয়ার-২০২০ সম্মাননা লাভ করার রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পক্ষ থেকে মেয়রকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে। এছাড়া রাসিকের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ, প্রকৌশল বিভাগ, পরিবেশ উন্নয়ন শাখার পক্ষ থেকে মেয়রকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে বাতাসে ভাসমান মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর কণা দ্রুত কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে বিশ্বে সেরা শহর নির্বাচিত হয় রাজশাহী। জাতিসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) উপাত্তের ভিত্তিতে যুক্তরাজ্যের দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়।

রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনের উদ্যোগে জিরোসয়েল প্রকল্প বাস্তবায়ন, বিপুল পরিমাণ বৃক্ষরোপণ, রাস্তার পাশের ফুটপাত কংক্রিট দিয়ে ঘিরে দেওয়া, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার বহুল ব্যবহার, ডিজেলচালিত যানবাহন চলাচলে কড়াকড়ি ইত্যাদি কারণে এই সাফল্য আসে। এছাড়া পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতায় রাজশাহীর সুনাম দেশজুড়ে।

এরআগে ২০১২ সালের ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে প্রথমবারের মতো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে পরিবেশ পদক গ্রহণ করেন রাসিক মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। একই বছর বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার লাভ করে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন। ২০০৯ সালেও বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার লাভ করে রাসিক।


শর্টলিংকঃ