কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে বসন্তের সকাল


নিজস্ব প্রতিবেদক : 

প্রকৃতিতে হাজির হয়েছে  ফাল্গুন। চলছে বসন্তকাল।  কিন্তু আজ সকালটাই যেন জানান দিয়েছে, এখনো পিছু ছাড়েনি শীত।  ভোরে কুয়াশার চাদরে ঢেকেছিল প্রকৃতি। বসন্তের সকালে শীতের কুয়াশা দেখে অনেকে তা ফেসবুকে  শেয়ার করেছেন। কেউ কেউ বলেছেন জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব। কেউবা আবার বেশ উপভোগ করেছেন।

                              কুয়াশায় ঢাকা সকাল। ছবিটি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল কাশেমের ফেসবুক টাইমলাইন থেকে নেয়া

সময়ের পালাবদলে ঋতুরাজ বসন্তের অভিষেক ঘটেছে সদ্যই। আগুন ঝরা ফাগুনের আবাহনে শিমুল ফুটেছে, পলাশ ফুটেছে। গ্রামের মেঠো পথে কখনও কখনও দূর সীমানা থেকে কানে ভেসে আসছে কোকিলের কুহু কুহু কলতান। কিন্তু শীত গেলেও প্রকৃতির সেই খেয়ালি আচরণ বদলায়নি। দিনে প্যাচপ্যাচে গরম। রাতে আবার সেই ঠাণ্ডা।

এমনই আবহাওয়া ভর করেছে রাজশাহীর ওপর। তার মধ্যে আবার বুধবারের  সকালটা ঢাকা পড়েছে ঘন কুয়াশার চাদরে। হু হু করে বইছে হিম ছড়ানো বাতাস। সকাল ৯টা পর্যন্ত রাজশাহীতে সূর্যের দেখা মেলেনি।

আবহাওয়া অফিস বলছে, বুধবার রাজশাহীতে সূর্যোদয় হয়েছে ভোর ৬টা ৩৬ মিনিটে। তবে ঘন কুয়াশার কারণে সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা ২শ’ মিটারের নিচে নেমে আসে। ভোর থেকে প্রধান সড়কগুলোতে হেড লাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে। কুয়াশা যেন আড়মোড়া দিয়ে প্রকৃতির সব কিছুকে ঢেকে রেখেছে। ফলে আমের মুকুলের ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ এ সময় কুয়াশা পড়লে আমের মুকুলে পাউডারি মিলডিউ রোগের আক্রমণ দেখা দিতে পারে।

                          কুয়াশার চাদরে মোড়া প্রকৃতি। একটি বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থার কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর খানের ফেসবুক থেকে নেয়া ছবি

রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাজীব খান  জানান, বুধবার রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে মঙ্গলবার ছিল ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া সোমবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে দিনের তাপমাত্রা এখন ধীরে ধীরে বাড়ছেই।

তবে তিনি জানান, মাঘের শেষে ফাল্গুনেও এমন কুয়াশা পড়া অনেকটায় স্বাভাবিক। সাধারণত এই কুয়াশা শীতের বিদায় বারতারই জানান দিচ্ছে। প্রকৃতিতে কুয়াশার ঘোর কাটলেই ১০/১২ দিনের মধ্যে রোদের তীব্রতা দ্বিগুণ হবে।


শর্টলিংকঃ