সম্ভাবনার আলো ছড়াচ্ছে পদ্মা সেতু


ইউএনভি ডেস্ক :
সম্ভাবনার আরও কাছাকাছি এখন স্বপ্নের পদ্মা সেতু। বুধবার  সেতুর জাজিরা অংশে বসছে আরও একটি স্প্যান। এবার সেতুর ৩৫ ও ৩৬ নম্বর পিলারে বসানো হচ্ছে আট নম্বর স্প্যানটি। ইতোমধ্যেই মাওয়া প্রান্ত থেকে স্প্যানটি পিলারের কাছাকাছি আনা হয়েছে। এ নিয়ে জাজিরা প্রান্তে বসতে যাচ্ছে সাতটি স্প্যান। আর মাওয়া প্রান্তে বসেছে একটি স্প্যান। পদ্মা সেতু প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

প্রমত্তা পদ্মার দুই পারের সংযোগ ঘটাতে ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু। এরপর ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি ৩৮ ও ৩৯ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হয় দ্বিতীয় স্প্যান। গত বছরের ১১ মার্চ ৩৯ ও ৪০ নম্বর খুঁটির ওপর বসে তৃতীয় স্প্যান। ১৩ মে ৪০ ও ৪১ নম্বর খুঁটির ওপর চতুর্থ স্প্যান বসানো হয়। ২৯ জুন সেতুর পঞ্চম স্প্যান বসানো হয়েছে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার নাওডোবা এলাকায়। এ বছরের জানুয়ারি মাসে জাজিরা প্রান্তের তীরের দিকের ষষ্ঠ স্প্যান বসে। এর মধ্য দিয়ে পদ্মা সেতুর ৯০০ মিটার দৃশ্যমান হয়।

জানা গেছে, ২৩ জানুয়ারি জাজিরা পয়েন্টে বসানো হয় সেতুর ৬ষ্ঠ স্প্যান। সে হিসেবে এক মাসেরও কম সময়ের ব্যবধানে পদ্মা সেতুতে আজ বুধবার বসছে আরও একটি স্প্যান। জাজিরা প্রান্তে সেতুর ৩৫ ও ৩৬ নম্বর খুঁটির ওপর বসছে এই সপ্তম স্প্যানটি। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এর মাধ্যমে জাজিরা প্রান্তে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর একটানা ১ হাজার ৫০ মিটার পর্যন্ত দৃশ্যমান হবে।

নতুন স্প্যান বসানোর বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম জানান, ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে এ বছরের ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত পদ্মা সেতুতে সাতটি স্প্যান বসানো হয়েছে। এর মধ্যে জাজিরা প্রান্তে ছয়টি ও মাওয়া প্রান্তে একটি স্প্যান বসানো হয়। প্রতিটি স্প্যানের দৈর্ঘ্য ১৫০ মিটার। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সেতুতে ৪২টি পিলারের ওপর বসবে ৪১টি স্প্যান।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ  বলেন, ‘বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্প প্রমাণ করে বাংলাদেশের সক্ষমতা আছে। এই সক্ষমতা আরও স্পষ্ট হবে প্রকল্পটি পুরোপুরি শেষ হওয়ার পর। কারণ এর গুণগত মান দেখতে হবে। ব্যয় আর না বাড়িয়ে সঠিক সময়ের মধ্যেই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন শেষ হোক আমরা এটিই চাই।’

অর্থনীতিবিদ ও অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. জায়েদ বখত বলেন, ‘অবশ্যই সক্ষমতা প্রমাণ করতে পেরেছে বাংলাদেশ। এর মধ্য দিয়ে নিজেদের আস্থা বেড়েছে। বৃহৎ এই অবকাঠামো অর্থনৈতিকভাবে, জাতীয়ভাবে বিশেষ অবদান রাখবে। বিষয়টি অবশ্যই জাতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’


শর্টলিংকঃ