ঘুষ দিয়ে রাজশাহীর ঠিকানায় পাসপোর্ট করেছিল দুই রোহিঙ্গা নারী


রবিউল ইসলাম রবি, দুর্গাপুর:

রাজশাহীর দুর্গাপুর থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে  উপজেলার আলীপুর গ্রাম থেকে দুই রোহিঙ্গা নারীসহ ১ দালাল কে গ্রেফতারের করেছে, তবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মামুন ও সজল নামের দুই যুবককে হেফাযতে নিয়েছে। শনিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে তাদের গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রোববার বিকেলে দুই রোহিঙ্গা নারীসহ তিন দালালকে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। রাজশাহী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে পুনরায় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মামলা দায়ের করা হবে এবং এ বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মাহমুদুল হাসান।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলার বালুখালি গ্রামের সেলিম হোসেনের স্ত্রী ফাতেমা ওরফে রুমানা, একই গ্রামের আরমান আলীর স্ত্রী পারভিন ওরফে ইয়াসমিন। রাজশাহী জেলার দুর্গাপুর উপজেলার আলীপুর গ্রামের আলী আহাম্মেদ চৌধুরীর পুত্র হেলাল চৌধুরী।

আর পুলিশ হেফাজতে নেওয়া দুই যুবক হচ্ছে ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা থানার রঘুনন্দপুর গ্রামের আজিমুদ্দিন মোল্লার পুত্র আল মামুন, ও মেহেরপুর জেলার গাংনী থানার বাথানপাড়া গ্রামের আব্দুল বারেকের পুত্র সাগর আহাম্মেদ।

দুর্গাপুর থানার ওসি আব্দুল মোতালেব জানান, ৯৯৯ থেকে ফোন কল পেয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার দিনগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার আলীপুর গ্রামের হেলাল চৌধুরীর বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে থানায় নেওয়া হয়। রোববার দুপুরে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মাহমুদুল হাসান থানায় এসে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। গ্রেপ্তাকৃতদের দেয়া তথ্যের সূত্র ধরে অধিকতর তদন্তের স্বার্থে রোববার বিকেলে তাদের জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

রাজশাহী জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মাহমুদুল হাসান সাংবাদিকদের জানান, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তাকৃতদের কাছ থেকে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। ইতিমধ্যে ৪০ হাজার টাকা ঘুষ দিয়ে জেলার পবা উপজেলার একটি গ্রামের ঠিকানা ব্যবহার করে রাজশাহী পাসপোর্ট অফিস থেকে দুই রোহিঙ্গা নারীর নামে পাসপোর্ট ইস্যূ করা হয়েছে।

পাসপোর্ট ইস্যূর ক্ষেত্রে পাসপোর্ট অফিসের কে কে জড়িত রয়েছে তাদের বিষয়ে তদন্ত করতে গ্রেপ্তারকৃতদের জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে- দুই রোহিঙ্গা নারীকে পাচারের উদ্দেশ্যেই রাজশাহীতে আনা হয়েছিল। পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে গ্রেপ্তারকৃতদের আরো জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


শর্টলিংকঃ