নাটোরে একের পর এক হত্যাকাণ্ডে উদ্বিগ্ন মানুষ


মাহবুব হোসেন, নাটোর:
নাটোরে হঠাৎ করে বেড়েছে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা। গত তিন দিনে অন্তত চারটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে গুলি করে, কুপিয়ে এবং শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার একদিনেই দুটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ

একাধিক সূত্র জানায়, গত ১২ জুন নাটোরের লালপুরে অলক বাগচি (৫৫) নামে এক ব্যবসায়ীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। গত ১২জুন লালপুর উপজেলার বিজয়পুর নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। নিহত অলক বাগচি লালপুর উপজেলার গোপালপুর পৌর সদরের সুনিল বাগচির ছেলে। নিহত অলক বাগচির মরদেহ ময়না তদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার দাহ করা হয়েছে।

তবে এই ঘটনার সাথে পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি। পূর্বের ছিনতাই ঘটনার সাথে যোগসূত্র রয়েছে বলে জানান ওসি নজরুল ইসলাম জুয়েল। তবে অপরাধীদের গ্রেফতার করার জন্য জোর চেষ্টা চলছে।

এছাড়া ১৩জুন নাটোরের গুরুদাসপুরের স্বামী পরিত্যাক্ত নারী সফুরা খাতুন হত্যা মামলার প্রধান স্বাক্ষী ও অপরএকটি হত্যা মামলার আসামী জালাল উদ্দিন আদালতে স্বাক্ষ্য দিতে যাওয়ার পথে কুপিয়ে হাত-পা কেটে হত্যা করে আসামীরা। জালাল উদ্দিন উপজেলার যোগেন্দ্র নগর গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে। তবে এই ঘটনার সাথে জড়িতদের এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

এদিকে, শুক্রবার (১৪জুন) এক দিনে দুটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। জেলার সিংড়া এবং নলডাঙ্গা এই দুটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

নাটোরের নলডাঙ্গায় আমেনা বেগম নামে স্বামী পরিত্যাক্ত এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয় নিজ ঘর থেকে। শুক্রবার সকালে উপজেলার বাশিলা গ্রামের নিজ বাড়ির টিনের ছুপড়ি ঘর থকে মরদেহটি উদ্ধার করে। নিহত আমেনা বেগম একই এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী।

নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, কী কারণে হত্যকান্ড ঘটেছে তা তাৎক্ষনিকভাবে জানা যায়নি। ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পেলে কিভাবে
তাকে হত্যা করা হয়েছে তার সঠিক তথ্য জানা যাবে। এ ব্যাপারে এখনো মামলা হয়নি। তবে এই ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি।

এছাড়া সিংড়ায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সৎ বড় ভাই ইসাহাক আলী তার ছোট ভাই হেদায়েত আলীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে।  শুক্রবার সকালে উপজেলার পুঠিমারী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত হেদায়েত আলী ওই এলাকার আব্দুল কাদের কান্দুর ছেলে ও পুঠিমারী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্র।  ঘটনার পর থেকে ইসাহাক আলী পলাতক রয়েছে।


শর্টলিংকঃ