পুঠিয়ায় সিন্ডিকেটে ধান-গম কিনছে খাদ্য গুদাম


আবু হাসাদ কামাল, পুঠিয়া:
রাজশাহীর পুঠিয়ায় কৃষকদের বঞ্চিত করে সিন্ডিকেট চক্রের মাধ্যমে ধান-গম ক্রয় করছে খাদ্য গুদাম। দু’একজন কৃষক গুনগতমান সম্পন্ন ধান-গম দিতে চাইলে গুদাম কর্মকর্তা বিভিন্ন অযুহাতে তা ফেরৎ দেন। যার করণে কৃষকরা গুদামে আসতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। অপরদিকে সিন্ডেকেট চক্র ও খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তার যোগসাজসে নিন্মমানের ধান-গম নেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

পুঠিয়ায় সিন্ডিকেটে ধান-গম কিনছে খাদ্য গুদাম
তবে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোসেন যোগসাজসের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, সিন্ডিকেট নয়, আমরা কৃষকেদের কার্ড দেখে খাদ্য ক্রয় করছি। ওই ক্রয়কৃত খাদ্যর মূল্যে দেয়া হবে কৃষকদের নামে ব্যাংক একাউন্টে।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর উপজেলার স্থানীয় কৃষকদের নিকট থেকে এক হাজার ৪০ টাকা মন হিসাবে সর্বমোট ৮৮ মে.টন ধান ও এক হাজার ১২০ টাকা মন হিসাবে ২৯৫ মে.টন গম ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সে মোতাবেক গত ২০ মে আনুষ্ঠানিক ভাবে খাদ্য ক্রয় কর্মসূচী উদ্বোধন করা হয়।

আশরাফুল ইসলাম নামে একজন কৃষক বলেন, আমরা ধান-গম নিয়ে গেলে তার সঠিক মান পাচ্ছেন না খাদ্য গুদাম। কৃষকরা ধান-গম হাটে বিক্রি করলে ওই ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে খাদ্য গুদাম ঠিকই কিনে নিচ্ছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ক্ষমতাসিন দলের নেতা বলেন, সরকার কৃষকদের কথা বিবেচনা করে সরাসরি তাদের নিকট থেকে খাদ্য ক্রয় করতে নিদের্শ দিলেও এখানো হচ্ছে তার বিপরিত। ক্ষমতাসিন দলের স্থানীয় দু’জন নেতা ও খাদ্য কর্মকর্তার যোগসাজসে ধান-গম কেনা হচ্ছে। খাদ্য ক্রয়ে তারা মোটা অঙ্কের টাকা লাভবান হলেও প্রতারিত হচ্ছেন কৃষকরা।

এ ব্যাপারে উপজেলা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসিলিটি) জালাল উদ্দীন সরর্দার বলেন, কার্ডধারী যেকোনো কৃষক আসলে আমরা তার নিকট থেকে খাদ্য ক্রয় করবো। খাদ্যের গুনগত মান না থাকায় দু’একজন কৃষককে ফেরৎ পাঠানো হয়েছে। তবে তাদের বলা হয়েছে সঠিক তাপমাত্রা আনলে আমরা ফেরৎকৃত খাদ্য গুলো গ্রহণ করবো।


শর্টলিংকঃ