বগুড়ায় স্ত্রীকে আনতে গিয়ে শ্বশুরবাড়িতে জামাই খুন


বগুড়া সংবাদদাতা:

বগুড়ার নন্দীগ্রামে শ্বশুর বাড়ি থেকে স্ত্রীকে আনতে গিয়ে সৎ ছেলের লাঠির আঘাতে  আরব আলী (৪৫) নামের এক ব্যক্তি খুন হয়েছেন। নিহত আরব আলী নন্দীগ্রাম উপজেলার বিজরুল গ্রামের মোবারক আলীর ছেলে।

প্রতীকি ছবি।

রোববার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। শনিবার বিকেলে বিজরুল গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে সৎ ছেলে ময়নুলের লাঠির আঘাতে তিনি আহত হন।

স্থানীয়রা জানান, আরব আলী দেড়বছর আগে একই গ্রামের মর্জিনাকে বিয়ে করেন। আরব আলী মর্জিনার ৩য় স্বামী। ১৫ দিন আগে মর্জিনা স্বামীকে না জানিয়ে শেরপুর চলে যায় এবং সেখানে বসবাস করতে থাকে।

শনিবার মর্জিনা বিজরুল গ্রামে তার মায়ের বাড়িতে বেড়াতে আসে। এ খবর পেয়ে আরব আলী স্ত্রীকে আনতে শ্বশুরবাড়ি গেলে মর্জিনা জানায়, সে স্বামী তালাক করে শেরপুরে চতুর্থ বিয়ে করেছে। কিন্তু আরব আলী স্বামী তালাকের কোন চিঠি না পাওয়ায় মর্জিনাকে স্ত্রী দাবী করে তার বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য টানা হেচড়া শুরু করে।

এর সময় মর্জিনার আরেক পক্ষের ছেলে ময়নুল (১৫) তার মাকে উদ্ধার করার জন্য আরব আলীর মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে। পরে স্থানীয় লোকজন আরব আলীকে উদ্ধার শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার সকাল ১০ টার দিকে তিনি মারা যান।

নন্দীগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই) মনোয়ার হোসেন বার্তা২৪.কম-কে জানান, ঘটনার পর থেকেই মর্জিনা তার মা জরিনা ও ছেলে ময়নুল পলাতক রয়েছে। নিহতের মরদেহ পুলিশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।


শর্টলিংকঃ