বাঘায় তৃতীয়বার ইউএনও’র ফোন নাম্বার ক্লোন করে চাঁদা দাবি


বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) সরকারি মুঠোফোন নম্বর এক বছরে তিনবার ক্লোন করে বিভিন্ন প্রতিষ্টানের কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে।

গতকাল মঙ্গলবার (২০ আগষ্ট) দুপুরে ইউএনও পরিচালিত ‘উপজেলা প্রশাসন’ বাঘা, রাজশাহীর নামে ফেসবুকে একটি সতর্কমূলক জরুরি বিজ্ঞপ্তি শিরোনামে পোস্ট দেয়া হয়েছে। এতে তিনি তার ব্যবহৃত সরকারি নম্বরটি উল্লেখ করে লিখেন-আমার সরকারি নম্বরটি ক্লোন করে কে বা কারা নারায়নপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ল্যাপটপ দেয়া হবে বলে টাকা দাবি করছেন। বিষয়টিতে সবাইকে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে নারায়নপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যাললের প্রধান শিক্ষক পাপিয়া সুলতানা বলেন, ইউএনও’র সরকারি নম্বর থেকে ফোন দিয়ে বলা হয়, আপনার প্রতিষ্ঠানে ল্যাপটপ বরাদ্দ হয়েছে। কিছু টাকার দরকার। এ কথা শুনে আশ্চর্য হয়েছি। স্যার তো এভাবে কথা বলে না। এতে সন্দেহ হয়। তারপরই ফোন কেটে দেন। বিষযটি নিয়ে ইউএনও স্যারকে ফোন দিলে তিনি কোন ফোন করেনি বলে জানান।

বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহিন রেজা বলেন, নারায়নপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের ফোন আসে আমার কাছে। তার প্রতিষ্টানে ল্যাপটপ বরাদ্দ হয়েছে মর্মে টাকা চাওয়া হয়েছে। বিষয়টি জানার পর প্রাথমিকভাবে সবাইকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় সাধারণ ডাইরি করা হবে বলেও তিনি জানান।

উল্লেখ্য, গত ২০১৮ সালের ৮ আগষ্ট ইউএনওর ফোন ক্লোন করে আড়ানী ইউনিয়ন সচিব হাসানুজ্জামান, গড়গড়ি ইউনিয়ন সচিব উজ্জল হোসেন, বাউসা ইউনিয়ন সচিব রফি আহম্মেদের কাছে চাঁদা দাবি করা হয়েছিল।

এছাড়া ১৪ ফেব্রুয়ারী নারায়নপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যাললের প্রধান শিক্ষক পাপিয়া সুলতানা, মনিগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম, উপজেলা সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা শাজাহান হোসেন, দিলরুবা ইয়াসমিনের কাছে একই কায়দায় চাঁদা দাবি করা হয়েছিল।


শর্টলিংকঃ