মধ্যরাতে ইলিশ শিকারে মেঘনায় নামবে জেলেরা


ইউএনভি ডেস্ক :

মার্চ-এপ্রিল দুই মাস নিষেধাজ্ঞা শেষে শুক্রবার মধ্যরাতে মেঘনা নদীতে নৌকা ভাসাবে লক্ষ্মীপুরের অর্ধ-লক্ষাধিক জেলে। গত কয়েকদিন টানা কাজ করে জাল নৌকা মেরামত শেষে সকল প্রস্তুতি নিয়ে ইলিশ শিকারে যাওয়ার অপেক্ষা করছে তারা। তবে মেঘনার পানিতে লবণাক্ততা বৃদ্ধি ও বৃষ্টি না হওয়ায় ইলিশ প্রাপ্তি নিয়ে জেলেরা শঙ্কায় রয়েছেন।

কমলনগরের মতিরহাট ও লুধুয়া মাছঘাট এলাকার কয়েকজন জেলের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মেঘনার পানিতে লবণ বেড়ে গেছে। বৃষ্টিও নেই। দীর্ঘদিন পর তারা নৌকা ভাসাবে, কিন্তু ইলিশ পাওয়া নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে। বৃষ্টি না হলে ইলিশ কম পাওয়া যায়। এরমধ্যে এখন নদীর পানিতে লবণাক্ততা নতুন সমস্যা। লক্ষ্মীপুরের জেলেরা নিষেধাজ্ঞাকালীন নদীতে না নামলেও বাইরের নোয়াখালী ও ভোলার জেলেরা এসে ইলিশ শিকার করে বলে অভিযোগ রয়েছে।

সূত্র জানায়, ইলিশ উৎপাদন ও জাটকা সংরক্ষণে বছরের প্রায় ৩ মাস মেঘনায় ইলিশ শিকারে সরকারি নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। কিন্তু নিষেধাজ্ঞার পর গত দুই মৌসুমে লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদী এলাকায় আশানুরুপ ইলিশ পাওয়া যায়নি। জেলেদের দাবি মেঘনায় ইলিশ খুব কম আসে।

তবে মৎস্য কর্মকর্তাদের দাবি, প্রায় ৯০ শতাংশ জেলে মাছ শিকারে বঙ্গোপসাগর ও সাগরের কাছাকাছি অবস্থান করে। এজন্য ইলিশ নদীতে আসার সুযোগ কম পায়। এছাড়া লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীর বিভিন্ন স্থানে গভীরতা কম। ইলিশ গভীর জলের মাছ, এজন্য কম গভীর এলাকায় ইলিশ পাওয়া যায় না।

লক্ষ্মীপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন বলেন, বৃষ্টি না হওয়ায় মেঘনার পানিতে লবণাক্ততা বেড়েছে। বৃষ্টি হলে তা কমে যাবে। এবার লক্ষ্মীপুরের মেঘনায় ২৫ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। মধ্যরাত থেকে মাছ শিকারে যাবে জেলেরা। তবে জুন পর্যন্ত জাটকা ধরা নিষিদ্ধ। জাটকা রক্ষায় মৎস্য বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।


শর্টলিংকঃ