রাজশাহীর কলেজ ছাত্র রাব্বি হত্যার দায় স্বীকার ছিনতাইকারীর


নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজের ছাত্র ফারদিন আশারিয়া রাব্বি হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে এক ছিনতাইকারী। রনক নামে ওই ছিনতাইকারী জবানবন্দিতে বলেছে, ছিনতায়ের উদ্দেশ্যেই রাব্বির পথ রোধ করেছিল সে। এর এক পর্যায়ে রাব্বিকে কুপিয়ে হত্যা করে সে।

শনিবার রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৫ এর বিচারক সেলিম রেজার কাছে এই জবানবন্দি দিয়েছে সে। রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপ-কমিশনার গোলাম রুহুল কুদ্দুস জানান, কলেজ ছাত্র রাব্বি হত্যার পর দিনই হেরোইনসহ রনককে গ্রেফতার করে পুলিশ। সে সে চিহ্নিত ছিনতাইকারী। রনক নগরীর হেতেমখাঁ ছোট মসজিদ এলাকার মৃত কুদরত আলীর ছেলে।

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সে রাব্বি হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। সে পুলিশকে জানিয়েছে, ঘটনার দিন ভোরে ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে ঘটনাস্থলের ওঁৎ পেতে ছিল। এ সময় ছাত্রাবাস থেকে বেরিয়ে রাব্বি ট্রেন ধরার উদ্দেশ্যে স্টেশনের দিকে রওনা হয়। হেতেম খাঁ ছোট মসজিদের উত্তরে লাল ভবনের সামনে এসে পৌঁছলে তার গতিরোধ করে রওনক। এ সময় দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে রাব্বি।

এ সময় তাদের মাঝে ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে রাব্বি সড়কে পড়ে গেলে আর্তচিৎকার শুরু করে। ঘটনা জানাজানি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় রনক দা দিয়ে তার মাথায় কুপিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় রাব্বি।

গত ৬ আগস্ট ভোর সাড়ে পাঁচটার টার দিকে রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ফারদিন ইসনা আশারিয়া রাব্বীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

গ্রেফতারের পর রণকের দেয়া তথ্য তথ্য অনুযায়ী তার বাড়ির শয়ন কক্ষ হতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ১৫ ইঞ্চি ধারালো দা জব্দ করেছে পুলিশ। জবানবন্দিতে রনক জানায়, সে মাদকাসক্ত। ঘটনার দিন নেশার টাকা জোগাড়ের জন্য সে একাই ছিনতাই করার উদ্দেশ্যে ওঁৎ পেতে ছিল।


শর্টলিংকঃ