নিজস্ব প্রতিবেদক :
মাঘের বৃষ্টিতে দুর্ভোগে পড়েন কর্মজীবী মানুষ। ফুটপাতে যারা হরেক রকমের শীতের কাপড় খোলা আকাশের নিচে বিক্রি করছিলেন তাদের দুর্ভোগ আরেকটু বেশি। তড়িঘড়ি করে দোকান গুটিয়ে নিতে হয়েছে তাদের। এই শীতে স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের অনেকেই বৃষ্টিতে ভিজে গিয়ে পড়ে বিপাকে।
আগের দিন সকাল থেকেই আকাশে ছিল ঝলমলে রোদ। তাপমাত্রা বেড়েছিল, কমেছিল শীতের তীব্রতাও। কিন্তু রবিবার ভোর থেকে রাজশাহীর আকাশে ঘন কুয়াশা। কমে যায় তাপমাত্রা। সকাল ১০টার দিকে বৃষ্টিও শুরু হয়েছে। এতে পদ্মাপারের মানুষের জীবনে দুর্ভোগ নেমে এসেছে।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের সহকারী পর্যবেক্ষক আনোয়ারা খাতুন দুপুর ১টার দিকে ইউনিভার্সাল২৪নিউজকে জানান, রাজশাহীতে ২দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সকালে রাজশাহীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন শনিবার সর্বনিম্ন ছিল ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পারদ উঠেছিল ২৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তিনি আরো জানান, গত ৬ জানুয়ারি রাজশাহীতে চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১৫ জানুয়ারির পর তাপমাত্রা একটু একটু করে বাড়ছিল। তবে এখন বৃষ্টির কারণে তাপমাত্রা আর বাড়বে না। ফলে বাড়তে পারে শীতের তীব্রতা।
এদিকে রবিবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা অথবা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। তবে আগামীকাল সোমবার থেকে এই বৃষ্টি কমে যাবে।
আরও পড়ুন ‘ইউনান ইউনিভার্সিটি’ প্রকৃতিঘেরা অনিন্দ্য সুন্দর বিদ্যাপীঠ