নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহীর হযরত শাহ মখদুম বিমানবন্দরে যাত্রীর লাইসেন্স করা পিস্তুল ও ২৭রাউন্ড গুলি জব্দ করা হয়েছে। যাত্রী তল্লাশির সময় নিরাপত্তাকর্মীরা পিস্তুল ও গুলি পায়। পিস্তলের ভেতরের একটি ম্যাগজিনে ছিল ৭ রাউন্ড গুলি। আর যে ব্যাগে পিস্তলটি ছিল সেখানে আরও একটি অতিরিক্ত ম্যাগজিনে ছিল ৭ রাউন্ড গুলি। এছাড়া একটি কার্টুনে রাখা ছিল বাকি ১৩ রাউন্ড গুলি। এ সবই ছিল একটি ব্যাগের ভেতর।
এসএম হাসান নামে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত এক মেজর এগুলো নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি নওগাঁ। এখন তিনি রাজশাহী মহানগরীর উপশহরে বসবাস করেন। প্রায় ৬৫ বছর বয়সী হাসান এখন ব্যবসায়ী। তার দাবি, ঢাকা যাওয়ার জন্য বিমানবন্দরে ঢোকার সময় তিনি অস্ত্র থাকার বিষয়টি নিরাপত্তাকর্মীদের জানিয়েছিলেন। তবে সিভিল এভিয়েশন তার দাবি নাকচ করে দিয়েছে।
হযরত শাহমখদুম বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক সেতাফুর রহমান জানান, এসএম হাসান নভোএয়ারের একটি ফ্লাইটের যাত্রী ছিলেন। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বিমানটি ঢাকার উদ্দেশ্যে রাজশাহী ছাড়ে। এর আগে সকাল ৯টা ৫৪ মিনিটে এসএম হাসান বিমানবন্দরে আসেন। বিমানবন্দরে প্রবেশের সময় প্রথম স্ক্যানিংয়েই তার ব্যাগে অস্ত্র ধরা পড়ে। তখন সিভিল এভিয়েশনের নিরাপত্তা কর্মী মাজেদুল ইসলাম তাকে আটকান। বিষয়টি জানিয়ে এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিকীকেও ঘটনাস্থলে ডাকা হয়।
বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক বলেন, এসএম হাসান চিকিৎসার জন্য তিনি একাই ঢাকা যাচ্ছিলেন। তবে অসৎ কোনো উদ্দেশ্যে অস্ত্র ছিল বলে আমাদের কাছে মনে হয়নি। তারপরেও অস্ত্র ও গুলি নিয়ে যেতে দেয়া হয় নি। ঢাকা গেছেন এসএম হাসান। পরে অস্ত্রগুলো এয়ারপোর্ট থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরে সেখান থেকে এসএম হাসানকে তা বুঝে নিতে হবে।
এয়ারপোর্ট থানার ওসি নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, অস্ত্র বৈধ হলেও ওই যাত্রী বিমানবন্দরের নিরাপত্তাকর্মীদের অবহিত করেছিলেন কি না তা তদন্ত করে দেখার প্রয়োজন আছে। আমরা সেটা অবশ্যই তদন্ত করে দেখব। এরপরই অস্ত্রগুলো ফেরত দেয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
