সোনামসজিদ বন্দরে ঝুঁকি নিয়ে চলছে পণ্যবাহী ট্রাক


তারেক রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ:

চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দরের জিরোপয়েন্ট থেকে বাংলাদেশ অংশে আড়াই কিলোমিটার সড়ক সংস্কারের অভাবে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কে অসংখ্য খানা-খন্দ ও গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে নিত্যদিন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে আমদানি পণ্যবাহী ট্রাক।

খানা-খন্দে ভরা সোনামসজিদ স্থলবন্দর সড়কে এভাবে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে পণ্যবাহী গাড়ি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কের মাঝখানে বেশ কয়েকটি পণ্যবাহী ট্রাক দেবে গিয়ে বিকল হয়ে আছে। ফলে বন্দর থেকে পণ্য পরিবহনকারী অন্য ট্রাকগুলোও চলাচলে ব্যহত হচ্ছে। ফলে কয়েক ঘন্টা ধরে বন্ধ থাকে পণ্য পরিবহন। এমন দৃশ্য নিত্যদিন দেখা যায় বলে জানায় স্থানীয়রা।

স্থানীয় বাসিন্দা ও বন্দর ব্যবহারকারীদের অভিযোগ, সোনামসজিদ থেকে পণ্য পরিবহরে জন্য একমাত্র সড়কটির বেহাল দশা। সড়কে গর্ত থাকার কারণে পণ্যবোঝাই ট্রাক নিয়ে যেতে সমস্য হচ্ছে। গর্তে পড়ে চাকা পাংচার হয়ে যায়, পাতি-সেট ভেঙ্গে যায়।

দীর্ঘদিন ধরে সোনামসজিদের মূল সড়কটি সংষ্কার না করায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সোনামসজিদ স্থলবন্দর থেকে সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করলেও এই সড়কটির বেহাল দশা।

সড়কে গাড়ি বিকল হয়ে যাওয়ার জন্য অন্য ট্রাকগুলো বন্দর থেকে বের হতে গভীর রাত হয়ে যায়। তারপরও নেওয়া হয়নি কোন উদ্যোগ।

খানা-খন্দে ভরা সোনামসজিদ স্থলবন্দর সড়কে এভাবে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে পণ্যবাহী গাড়ি।

স্থানীয়রা বলছেন- সোনামসজিদ স্থলবন্দর থেকে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয় সরকারের। তাই এই সড়কটি দ্রুতই সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া উচিত।

জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী এ .এম আতিক উল্লাহ জানান, প্রায় সাত বছর আগে সংস্কার করা হয়েছিল ওই সড়কটি। দীর্ঘসময় ধরে সংস্কার না হওয়ায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

তবে এরই মধ্যে ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এবার স্থায়িত্ব বাড়ানোর জন্য কংক্রিটের ঢালাই দিয়ে সড়ক তৈরি করা হবে।

তিনি দাবি করেন, সোনামসজিদ স্থলবন্দর সড়কটি জাতীয় মহাসড়কের অন্তর্ভূক্ত। এই সড়কটি খুবই জরাজীর্ণ থাকায় একটি প্রকল্প প্রস্তাব মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদ হওয়ার পর দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।

‘এখন দরপত্র মূল্যায়ন প্রক্রিয়াধীন। এবার ঢালাই রাস্তা হবে। আমরা চেষ্টা করছি, যাতে এই সড়কটি নির্মাণে খরচ বেশি হলেও স্থায়ীত্ব বেশি হয়।’

 


শর্টলিংকঃ