সোয়া কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বিএনপির ১৬ আইনজীবী বরখাস্ত


নিজস্ব প্রতিবেদক :

রাজশাহী অ্যাডভোকেট বার সমিতি কল্যাণ তহবিল থেকে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ১৬ জন সদস্যকে সংগঠনের কল্যাণ তহবিল থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সোমবার বার সমিতির বিশেষ সাধারণ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বরখাস্ত হওয়া আইনজীবীরা সবাই বিএনপিপন্থী।

২০১০ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত তারা বার সমিতির নেতৃত্বে ছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ- নেতৃত্বে থাকাকালীন তারা সমিতির কল্যাণ তহবিলের ১ কোটি ২৮ লাখ ৩ হাজার ৬ শো ৮১ টাকা আত্মসাত করেছেন।

রাজশাহী অ্যাডভোকেট বারের লোগো।

বার সমিতির বর্তমান সভাপতি অ্যাডভোকেট লোকমান আলীর সভাপতিত্বে সমিতির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট একরামুল হকসহ অন্য আইনজীবীরাও উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে বার সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট একরামুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অভিযুক্ত আইনজীবীরা হলেন- বারের সাবেক সভাপতি ও কল্যাণ তহবিল স্ট্যান্ডিং কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেম, তহবিলের সাবেক চেয়ারম্যান এরশাদ আলী ঈশা, বারের সাবেক সভাপতি মোজাম্মেল হক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জমশেদ আলী-১, মাইনুল আহসান পান্না ও আফতাবুর রহমান, সাবেক যুগ্ম -সম্পাদক (কল্যাণ তহবিল) পারভেজ তৌফিক জাহেদী, হাবিবুর রহমান-৩, সানোয়ার কবির খান ঈশা ও জানে আলম; সাবেক হিসাব সম্পাদক শামসুল হক, মুন্সি আবুল কালাম আজাদ ও আবদুর রাজ্জাক সরকার; সাবেক অডিট সম্পাদক আবদুল মতিন চৌধুরী রুমি, আদিব ইমাম ডালিম ও মাহবুবুর রহমান রুমন।

বারের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. একরামুল হক  জানান, সাধারণ সভায় ১৬ জন সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তাদের কল্যাণ তহবিলের সদস্যপদ বাতিল করা হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী- তারা এখন শুধু সহযোগী সদস্য হিসেবে গণ্য হবেন। তবে এদের মধ্যে থেকেও জমশেদ আলী-১, মাইনুল আহসান পান্না ও আফতাবুর রহমানকে তিন বছরের জন্য এবং শামসুল হক, আবদুল মতিন চৌধুরী রুমি, আবদুর রাজ্জাক সরকার, মাহবুবুর রহমান রুমন, মুন্সি আবুল কালাম আজাদ ও আদিব ইমাম ডালিমকে ছয় মাসের জন্য বরখাস্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ তারা সহযোগী সদস্য হিসেবেও গণ্য হবেন না।

তিনি আরও জানান, সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বরখাস্তকালীন সময়ে এসব আইনজীবীরা সমিতির কোনো প্রকার সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারবেন না। আদালতে আইন পেশা পরিচালনা করতেও পারবেন না তারা। আর টাকা ফেরত দিতে এই ১৬ জনকে এক মাসের সময় বেঁধে দেয়া হয়। এই সময়ের মধ্যে সমিতিতে টাকা ফেরত না দিলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। তবে টাকা ফেরত দিলে তারা তাদের বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহারের জন্য সমিতিতে আবেদন করতে পারবেন।


শর্টলিংকঃ