রাবিতে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে সাংস্কৃতিক জোটের আলোচনা সভা


রাবি প্রতিনিধি:

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) আলোচনা সভা ও র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ১৪৯ নং কক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।

আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, রাবি ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক লায়লা আরজুমান বানু, বাংলা বিভাগের ও বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি অধ্যাপক পি এম শফিকুল ইসলাম।

দর্শন বিভাগের অধ্যাপক এস এম আবু বকর, ফোকলোর বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম কনকসহ অন্যান্য শিক্ষক ও অসংগঠনটির সদস্যবৃন্দ।

আলোচনা সভায় সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক পি এম শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু এমন একজন ব্যক্তিত্ব ছিলেন যার প্রতিটি অঙ্গনে ছিলো অসমান্য অবদান। তিনি স্বাধীন বাংলার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন এবং তার বাস্তব রূপও দিয়েছিলেন।’

‘তাই আজ আমরা স্বাধীন। কিন্তু আমরা তাকে কি দিয়েছি? বাঙালি বলেই কি তাঁর দম কম? তিনি যদি ইউরোপের কোনো দেশে জন্মগ্রহণ করতো তাহলে যথার্থ সম্মান পেতেন।’

তিনি আরও বলেন, বাংলার সংস্কৃতি হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবার। বর্তমান সংস্কৃতিতে ইংরেজী এমনভাবে ঢুকে গেছে যে আমরা বের হতে পারছি না। কিন্তু জাপান একটা ছোট দেশ হওয়া সত্ত্বেও তারা ৩ নম্বর অর্থনীতি শক্তি। তার অন্যতম কারণ জাপানে পিএইচডি করতে গেলেও তাদের নিজস্ব ভাষা শিখতে হয়।

‘আর আমরা ইংরেজি ভাষা শিক্ষা গ্রহণ করার জন্য ছুটি। আমাদের জাতীয়তা বাঁচিয়ে রাখার জন্য যদি সকল প্রকার উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণায় বাংলা ভাষায় হয় তাহলে আমরা অর্থ শক্তিতে এগিয়ে যাবে।’

এ সময় অধ্যাপক এস এম আবু বকর বলেন, ‘সাম্প্রদায়িকতা, অরজাকতা, ধর্মের নামে অপব্যাখ্যা দিয়েছে মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ আবার ওই শ্রেণির লোকই তা প্রতিহত করেছে। কিন্তু এই শ্রেণির লোকের মধ্যে ছিলো সংস্কৃতিক কর্মীরা।’

‘তারা বিভিন্ন সময় রবীন্দ্রনাথ, নজরুলসহ বিভিন্ন লেখকের মাধ্যমে প্রতিবাদ করেছে। এক এক জন লেখক ছিলেন তাদের আদর্শ। তেমনি বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কর্মীদের মূলনীতি কি তা শুধু লিখে বুঝানোর প্রয়োজন নেই। তারা প্রত্যেকেই সাংস্কৃতিক আন্দোলন কর্মী।’

এছাড়াও যারা নাট্যকর্মশালায় অংশগ্রহণ করেছিলেন দিবসটি উপলক্ষে তাদের সনদ প্রদান করা হয়।


শর্টলিংকঃ